ঢাকায় রাস্তার প্রয়োজন ২৫ শতাংশ, কিন্তু সেখানে মাত্র ৯ শতাংশ আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ঢাকার ট্রাফিকিং ব্যবস্থাকে পর্যায়ক্রমে লাইটিং সিস্টেমে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্ন ছিল- বাইরের দেশগুলোতে চমৎকারভাবে যানবাহন চলাচল করে, সেখানে কোনো ট্রাফিক পুলিশ থাকে না। কিন্তু সিগন্যালের মাধ্যমে সুন্দরভাবে রাস্তায় গাড়ি চলাচল করে। আমরা যখন ক্যান্টনমেন্টে যাই, দেখি সুন্দরভাবে গাড়ি চলাচল করে। এই চিত্রটি গোটা বাংলাদেশে সিগন্যাল বাতির মাধ্যমে আইন করে হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় কি না।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় দুই কোটি লোকের বসবাস। একটা শহরে যানবাহন উপযোগী রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুষ্ঠু রাখার জন্য অন্ততপক্ষে ২৫ শতাংশ রাস্তার প্রয়োজন হয়। সেখানে আমাদের আছে ৯ শতাংশ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হলে সেটি সাড়ে ৯ শতাংশ হতে পারে। আমাদের রাস্তার সংকট রয়েছে।
সিগন্যাল বাতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ট্রায়ালভাবে একবার দিয়েছিলাম। তাতে মহাজটের একটা দৃশ্য দেখেছি। সেজন্য আমরা সরে গিয়ে আরেকটি পরিকল্পনা নিয়েছি। দুই সিটির মেয়র আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কীভাবে আরও লাইটিং সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি, সেটি আমরা শুরু করেছি। শিগগিরই হয়ত পর্যায়ক্রমে কিছু কিছু জায়গায় শুরু করব। পরবর্তী সময়ে হয়ত সারা ঢাকাকেই সেই ব্যবস্থায় আমরা নিয়ে আসব।
তিনি বলেন, দুই সিটির মেয়র আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন। আমরা কীভাবে আরও রাস্তা লাইটিং সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি, তা দেখছি। শিগগিরই হয়তো পর্যায়ক্রমে কিছু কিছু জায়গায় আমরা শুরু করব। পরে হয়তো সারা ঢাকাকেই সেই ব্যবস্থায় আমরা নিয়ে আসব।